Latest Post

 

কেন্দুয়ায় তিন দিনব্যাপী জালাল মেলা

উপমহাদেশের প্রখ্যাত মরমী বাউল সাধক,একুশে পদকপ্রাপ্ত আত্মসন্ধানী বাউল কবি জালাল উদ্দিন খাঁ'র ১৩০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ৩দিন ব্যাপী জালাল মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৫, ২৬ ও ২৭ এপ্রিল এমেলা চলবে।  

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ৩দিন ব্যাপী বাউল সাধক জালাল উদ্দিন খাঁর ১৩০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এজালাল মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,  নেত্রকোনা -৩(কেন্দুয়া- আটপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য ইফতিকার উদ্দিন তালুকদা পিন্টু।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুজ্জামান,কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূরুল ইসলাম, কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো.এনামুল হক পিপিএম। 

মূখ্য আলোচক হিসেবে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত লেখক অধ্যাপক যতীন সরকার উপস্থিত থাকার কথা থাকলে উনি অসুস্থতার জন্য স্বশরীরে আসতে না পারায় তিনি ভার্চুয়ালি মোবাইলে মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। পরে প্রধান অতিথি মূখ্য আলোচকের অসুস্থতার জন্য আসতে না পারায় উপস্থিত সকলের কাছে উনার জন্য দোয়ার প্রার্থনা করেন।    
এছাড়াও সাবেক সচিব ও লেখক কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী,বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক- নাট্যকার-লোকসংস্কৃতি গবেষক সাইমন জাকারিয়া,বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত লোকসংস্কৃতি গবেষক সুমন কুমার দাশ,লেখক প্রাবন্ধিক গোলাম মোরশেদ খান, লেখক,গবেষক প্রাবন্ধিক গোলাম ফারুক খান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন,"ভাইসাব" খ্যাত সামিউল হক ভুইয়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসন  কর্তৃক তিন দিনব্যাপী "জালাল মেলা" এযাবৎকালের সর্ববৃহৎ মিলনমেলায় পরিণত হতে যাচ্ছে ৷ কিকি থাকছে এমেলায় প্রশ্ন করা হলে মেলা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ও কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত্রী অব্দি তিন দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলা, পুতুল নাচ, দেশবরেণ্য জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বাউলদের জালালগীতিকা পরিবেশনা, মঞ্চ নাটক ও দেশবরেণ্য জালাল ও লোকগবেষকদের অংশগ্রহণে আলোচনা অনুষ্ঠান থাকবে। সকলের স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণ ও সহযোগীতা একান্ত কামনা করেন তিনি। 

এছাড়াও, বর্ণিল এআয়োজনকে স্মরণীয় করে রাখতে "ভাবতরঙ্গ" শিরোনামে একটি প্রকাশনা প্রকাশিত হয়েছে। শেষে জালালগীতি পরিবেশনা করেন, বাউল সুনীল কর্মকার , লোকশিল্পী আব্দুল কুদ্দুস বয়াতী, বাউল কবি আব্দুস সালাম সরকার। 

এমেলা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এব্যাপারে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো.আয়েশ উদ্দিন তাঁর প্রতিক্রিয়া বলেন, মরমী বাউল সাধক জালাল উদ্দিন খাঁ কেন্দুয়া সম্পদ। জালাল মেলাকে ঘিরে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ করা যাচ্ছে এবং এমেলা ঘিরে অনেক বাউল-সাধকের আগমন ঘটবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরো বলেন, অনেক দেরিতে হলেও তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করার জন্য কেন্দুয়ার আপামর জনসাধারণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। 

এব্যাপারে বাউল শিল্পী ও কেন্দুয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জিয়াউর রহমান জীবনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এমন চমৎকার মেলার আয়োজনের জন্য কেন্দুয়াবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ দেন তিনি এবং আরো বলেন এজালাল মেলা কেন্দুয়াতে প্রথম উদযাপন হয়েছিল কেন্দুয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদ মাঠে, তাই এমেলার প্রতি আমাদের অতিরিক্ত টান বা উত্তেজনা রয়েছে। 

বাউল সাধকরা যাতে সঠিক সময়ে সঠিক মূল্যায়ন পাইতে পারে সেইজন্যে উপজেলা প্রশাসনসহ সরকারের কাছে জোর দাবী জানান তিনি ।

 

আয়মান–মুনজেরিনের প্রেমটা কীভাবে হলো

আয়মান সাদিক ও মুনজেরিন শহীদের প্রথম দেখা ২০১৪ সালেছবি: সংগৃহীত

তাঁরা কেউ গায়ক নন, নায়ক নন, নন ক্রিকেট তারকা। তবে ২০২৩ সালের সবচেয়ে আলোচিত বিয়ের তালিকা করলে সবার ওপরে থাকবে আয়মান সাদিক–মুনজেরিন শহীদ—এই দুই শিক্ষকের নাম!

এই দুজন যখন বিয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন, আত্মীয়স্বজন শুনেই বলেছিলেন, ‘তা তো বটেই।’ বিষয়টা এমন, আয়মান মুনজেরিনকে বিয়ে করবেন না তো আর কাকে করবেন! কথাটা মুনজেরিনের বেলায়ও সত্য। মুনজেরিনের সম্ভাব্য বিয়ের পাত্র হিসেবে আয়মান ছাড়া আর কারও নাম মাথায় আসেনি কারোরই!

কথা ছিল ফোন করবেন বেলা সোয়া তিনটায়। সোয়া ৩টা মানে কাঁটায় কাঁটায় ৩টা ১৫ মিনিট, এক মিনিটও এদিক–সেদিক নয়, হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করলেন আয়মান সাদিক। জমে উঠল এই তারকা জুটির সঙ্গে আড্ডা।

প্রথম দেখা

আয়মান সাদিক ও মুনজেরিন শহীদের প্রথম দেখা ২০১৪ সালে। তখন সবে হাঁটিহাঁটি পা পা করে যাত্রা শুরু করেছে টেন মিনিট স্কুল। সেই সময় টেন মিনিট স্কুলের সব মিটিং হতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর (ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) একটা ঘরে। ৯ জনের ওপর ভর করে এগোচ্ছিল টেন মিনিট স্কুল। তাঁদেরই একজন মুনজেরিন। আয়মান সাদিককে প্রথম দেখায় মুনজেরিনের মনে হয়েছিল, ছেলেটা খুব মেধাবী ও পরিশ্রমী। সব সময় তাঁর মাথার ভেতর কিছু একটা চলছে। ডিজাইন করেন। অঙ্ক ভালো জানেন। মুনজেরিনকে প্রথম দেখায় আয়মানের কেমন লেগেছিল? চটপট উত্তরে প্রকাশ পেয়ে গেল আয়মানের রসবোধ, ‘অঙ্ক ভালো পারে না। হ্যাঁ, ফার্স্ট ইমপ্রেশন এটাই ছিল।’ তারপর হাসতে হাসতে বললেন, ‘তবে ইংরেজিটা ভালো পারে। আমি আবার ইংরেজি ভালো পারি না!’

মুনজেরিনের সম্ভাব্য বিয়ের পাত্র হিসেবে আয়মান ছাড়া আর কারও নাম মাথায় আসেনি কারোরই!
মুনজেরিনের সম্ভাব্য বিয়ের পাত্র হিসেবে আয়মান ছাড়া আর কারও নাম মাথায় আসেনি কারোরই!
ছবি: সংগৃহীত

অথচ দুজনের কেউই ভাবেননি, ‘বড় হয়ে’ শিক্ষক হবেন!

আয়মানের বাবা সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। আয়মানের প্রতিবেশীরা ছিলেন সেনাসদস্য। পড়াশোনা করেছেন আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে। ‘বড় হয়ে’ সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন, এমনটাই ইচ্ছা ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর মনে হয়েছিল, ভালোই তো, ‘কম কষ্ট, বেশি টাকা’র কোনো একটা প্যাকেজ নিয়ে শুরু করবেন পেশাজীবন। শিক্ষক হওয়া অনেকটা শাপেবর হয়ে এসেছিল। প্রথম বর্ষে আরেক বন্ধু টিউশনি করে মাসে ১৫ হাজার টাকা আয় করতেন। তা–ই শুনে আয়মানের মনে হয়েছিল, ‘ও মাসে এত টাকা কী করে!’ নিজেও শুরু করলেন টিউশনি। আট মাসের মাথায় আয়মান টিউশনি করিয়ে লাখ টাকা আয় করা শুরু করলেন। এরপর তাঁর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলল। অনেককে একসঙ্গে পড়াতে শুরু করলেন অনলাইনে। এভাবেই আয়মান আবিষ্কার করলেন, তিনি তো শিক্ষক হিসেবে বেশ ভালো! শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিয়ে আয়মানের নিজেকে ‘হিরো হিরো’ মনে হতো। এরপর বাকিটা তো ইতিহাস!

এদিকে মুনজেরিনের ছোটবেলায় অনেক কিছু হতে ইচ্ছা করত। ভালো আঁকতেন। আর্কিটেক্ট হতে চেয়েছিলেন। পরিবার চেয়েছিল, মুনজেরিন মেডিকেলে পড়ুক। বোন মেডিকেলের বই পাঠিয়েছিলেন। বইয়ের ‘সাইজ’ দেখেই পিছু হটেছিলেন মুনজেরিন। ভর্তি হয়ে গেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। সেখান থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে বৃত্তি নিয়ে উড়াল দিলেন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডে। দ্বিতীয়বার ইংরেজিতে মাস্টার্স করে দেশে এসে ফিরে গেলেন টেন মিনিট স্কুলে। মুনজেরিনের মনে হলো, এটাই তাঁর কাজের জায়গা।

আয়মান বিয়ের অনুষ্ঠানে মেকআপ করেননি।
আয়মান বিয়ের অনুষ্ঠানে মেকআপ করেননি।
ছবি: সংগৃহীত

আয়মান কেন মুনজেরিনকে বিয়ে করলেন, জানেন?

আয়মান জানান, মুনজেরিন পড়ুয়া, পরিশ্রমী আর খুবই শান্তশিষ্ট। আয়মান নাকি মোটেও ঝগড়া করতে পারেন না। তাই এ রকম একটা ‘সিম্পল, ক্ল্যাসি আর শান্তিপ্রিয়’ মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি। একটু দুষ্টুমিও করে নিলেন। বললেন, ‘আগে যেগুলো বলেছি, সেগুলো কেতাবি কথা। আসল কারণ হলো, ফ্রি ফ্রি ইংরেজি শেখার এ রকম অপূর্ব সুযোগ কে হারায়!’

আয়মানের কাছে মুনজেরিন হলো সিম্পল, ক্ল্যাসি আর শান্তিপ্রিয়’ মানুষ
আয়মানের কাছে মুনজেরিন হলো সিম্পল, ক্ল্যাসি আর শান্তিপ্রিয়’ মানুষ
ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে মুনজেরিন বললেন, ‘আমি কোনো দিন দেখিনি শত্রুরও অমঙ্গল চেয়েছে আয়মান। একজন বড় ক্ষতি করে চলে গেল, ও চুপ থেকেছে। তাঁর সম্পর্কে কোনো খারাপ কথা বলেনি। উল্টো সুযোগ পেলে আবার তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে। ও সব সময় সবার ভালো চায়। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে অন্যের পাশে থাকে।’ এটুকু বলে মুনজেরিন একটা গল্পও বললেন। গল্পটা আয়মানের মা, মানে তাঁর শাশুড়ির কাছ থেকে শুনেছেন। আয়মান তখন অনেক ছোট। একবার আয়মানদের বাসার কাজে সাহায্যকারী নারী অনেকগুলো টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। তখন আয়মান তাঁর মাকে বলেছিলেন, ‘মা, হয়তো উনার অনেক দরকার। উনার তুলনায় আমাদের তো যথেষ্ট আছে। উনাকে মাফ করে দাও, প্লিজ।’ মানুষ আয়মানের এই গুণই মুনজেরিনকে সবচেয়ে বেশি টেনেছিল।

কে প্রথম বললেন কথাটা?

হলুদের সাজে মুনজেরিন
হলুদের সাজে মুনজেরিন
ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন শুনেই আয়মান দুষ্টুমির স্বরে বললেন, ‘কোন কথাটা?’ তারপর নিজেই বললেন, ‘তেমন কিছু নয়। আমাদের তো আসলে ১০ বছরের চেনাজানা। আশপাশে সবাই বলছিল। পরে ভেবে দেখলাম, খারাপ হয় না বিষয়টা।’ মুনজেরিন তিন বছর ধরে টেন মিনিট স্কুলের জনপ্রিয় শিক্ষক। শুরু থেকেই এই দুজনার প্রেম নিয়ে গুঞ্জন, ফিসফাস চলছিল। সেটা আয়মানের পরিবারের লোকের ভেতরেও সঞ্চারিত হয়েছিল। আয়মান সাদিকের বাবা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তাইয়েবুর রহমান একদিন মা শারমিন আক্তারকে ডেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আচ্ছা, ওর কি মুনজেরিনের সঙ্গে কিছু আছে? ওকে জিজ্ঞেস কোরো তো।’ আয়মানের বাবাকে বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন তাঁর চাচা।

পরদিন সকালবেলা আয়মানের মা সোজা ছেলের ঘরে ঢুকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আচ্ছা, তোর আর মুনজেরিনের কি বিয়ের পরিকল্পনা আছে?’ শুনে আয়মান কেবল বলেছিলেন, ‘মন্দ বলোনি। খারাপ হয় না।’ এর কিছুদিন পর আয়মান কোনো একটা কাজে ব্যস্ত। তাঁর বাবার ফোন। ফোন ধরতেই ওপাশ থেকে আয়মানের বাবা বলে বসলেন, ‘আচ্ছা, ১৯ জুলাই সেনাকুঞ্জ খালি আছে...।’ তখনো আয়মান কারও সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক আলাপেই যাননি। বাবার কথা শুনে তো আয়মান আকাশ থেকে পড়লেন। মানে মাত্র চার মাস পর...অবশ্য এই জুটি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছিলেন ১৫ সেপ্টেম্বর, রাজধানীর ডিওএইচএসে, যে মসজিদে ছোটবেলা থেকে নামাজ পড়তেন, সেখানেই। পরদিন হলো গায়েহলুদ। আর ২৩ সেপ্টেম্বর সেনাকুঞ্জে হলো বিবাহোত্তর সংবর্ধনা।

তিন আয়োজনেই ‘জিরো মেকআপে’ আয়মান

আয়মান আর মুনজেরিন—দুজনেই ছোটবেলা থেকে খুব গোছানো মানুষ। তাই কাজের ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকেই চলেছে সব আয়োজনের প্রস্তুতি। এক মাস ধরে চলেছে নাচ আর গানের মহড়া। তবে সহকর্মী, বন্ধুদের কেউ মুখ খোলেননি এই জুটির বিয়ে নিয়ে। আয়মান জানান, বিয়ের খরচ তাঁরা পাই পাই করে হিসাব করেছেন। হিসাবের বাইরে নাকি একটি টাকাও খরচ হয়নি। আয়মান আর মুনজেরিন—কে কোনখানে কত টাকা দেবেন, তা একেবারে সুপরিকল্পিত ছিল। আর সব সেভাবেই হয়েছে। মুনজেরিন বলেন, ‘আমরা দুজনে দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিই। লজিস্টিকস, নিরাপত্তা, আয়োজন—এগুলো আয়মান দেখেছে। আমি কী পোশাক পরব, কোথায় কীভাবে ছবি তুলব, এগুলো দেখেছি। আমি চেয়েছি, আমরা যেমন দেখতে, তেমনই যেন লাগে। মেকআপ যেটুকু না হলেই নয়। আয়মান যোগ করলেন, ‘আমি তো তিন দিনের কোনো দিনই কোনো মেকআপ করিনি। জিরো মেকআপ। আমার বিয়ের পাঞ্জাবির দাম তিন হাজার টাকা। বিয়ে করতে গিয়ে দেখি, আমার কাছের আরেক বন্ধু একই পাঞ্জাবি পরে অনুষ্ঠানে হাজির। গায়েহলুদে যে সিল্কের পাঞ্জাবি পরেছিলাম, তার দাম সাড়ে তিন হাজার টাকা।’

বিয়ের পর প্রথম পাঁচ মাস হানিমুন তো দূরের কথা, ঢাকার বাইরেও যাওয়া হয়নি দুজনের।
বিয়ের পর প্রথম পাঁচ মাস হানিমুন তো দূরের কথা, ঢাকার বাইরেও যাওয়া হয়নি দুজনের।
ছবি: সংগৃহীত

বিয়েতে কোন বিষয়টিকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছিলেন? জানতে চাইলে মুনজেরিন জানালেন যে তাঁরা দুজনে ঠিক করে রেখেছিলেন, বিয়েতে যত বিপত্তি, গন্ডগোল বা ঝামেলাই হোক না কেন, তাঁরা একজন আরেকজনের ওপর ‘প্যারা’ খাবেন না। বিয়ের আয়োজন নিয়ে এটিই ছিল দুজনের ‘টপ অব প্রায়োরিটি’।

এই সুযোগে বিয়েতে হবু বরদের একটা পরামর্শও দিলেন মুনজেরিন। বলেন, পাগড়ি না কিনে যদি সিল্কের কাপড় দিয়ে মাথায় পেঁচিয়ে নেওয়া যায়, সেটা খুব ভালো দেখায়। কেননা, বিয়েতে বরের তো পাগড়িটাই মুখ্য। সেটা পরানোর লোক ডেকে এনে তাঁকে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা দিলেই তিনি খুব সুন্দর করে মাথায় মেপে পরিয়ে দেবেন। তাতে চমৎকার দেখাবে।

গায়েহলুদে ঠিক ৩০০ জনই উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ১৫০ জনই টেন মিনিট স্কুলের। বিয়ে–পরবর্তী সংবর্ধনায় ১ হাজার ৪০০ মানুষের আয়োজন ছিল। ২ হাজার ১০০ প্লেট খাবার সার্ভ করা হয়েছিল। আরও শ তিনেক দাওয়াত ছাড়া, খাবার ছাড়া অতিথি কেবল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেই মহাখুশি!

বছরের পর বছর ‘স্বামী–স্ত্রী কম, বন্ধু বেশি’ হয়ে থাকবেন।
বছরের পর বছর ‘স্বামী–স্ত্রী কম, বন্ধু বেশি’ হয়ে থাকবেন।
ছবি: সংগৃহীত

হানিমুনে পিছিয়ে...

হানিমুনের কথা জানতে চাইলেই আয়মান জানান, বিয়ের পর তিনি অফিশিয়াল ট্যুরে দুবার দেশের বাইরে থেকে ঘুরে এসেছেন। এখন পর্যন্ত (বিয়ের প্রথম পাঁচ মাসে) হানিমুন তো দূরের কথা, ঢাকার বাইরেও যাওয়া হয়নি দুজনের। এমনকি শ্বশুরবাড়িতেও যাওয়ার সময় করে উঠতে পারেননি এই শিক্ষক। তাই আত্মপক্ষ সমর্থন করে বললেন, এ ক্ষেত্রে তিনি বেশ পিছিয়েই আছেন। নববিবাহিত স্ত্রীকে দেশে রেখে দুবার বিদেশ ‘ভ্রমণ’ করে এসেছেন, সেটিকেও অনেকেই সুনজরে দেখছেন না। অনেকে যে সুনজরে দেখছেন না, সেটিকে সহজ, স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন আয়মান! বোঝা গেল, এ নিয়ে তাঁরও খানিকটা আক্ষেপ ছিলো। তবে শেষ খবর হলো, ফেব্রুয়ারি মাসে এই দম্পতি একসঙ্গে বেড়াতে গেছেন থাইল্যান্ড।

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছিলেন যে মসজিদে ছোটবেলা থেকে নামাজ পড়তেন, সেখানেই।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছিলেন যে মসজিদে ছোটবেলা থেকে নামাজ পড়তেন, সেখানেই।
ছবি: সংগৃহীত
মুনজেরিন বিয়ের দিন সেজেছিলেন হালকা সাজে
মুনজেরিন বিয়ের দিন সেজেছিলেন হালকা সাজে
ছবি: সংগৃহীত

সহকর্মী, বন্ধুকে জীবনসঙ্গী করার সবচেয়ে বড় সুবিধা কী?

এর উত্তরে দুজনেই একমত হলেন। বললেন, বিয়ের পর দুজনের কারও জীবনই প্রায় বদলায়নি। ৮০ শতাংশ আগের মতোই আছে। বদল বলতে আগে আলাদা আলাদা অফিসে, জিমে, দৌড়াতে যেতেন, এখন একসঙ্গে যান। আয়মান আর মুনজেরিনের বন্ধুবলয়ও এক। ফলে দাম্পত্য জীবন নিয়ে আলাদা করে ভাবতেই হয় না। সব মিলেমিশে খিচুড়ির মতো করে চলছে জীবন। খিচুড়িই, তবে সেটা জগা নয়, গোছানো খিচুড়ি। অসুবিধা বলতে আয়মান বললেন, ‘মাঝেমধ্যে যেকোনো মিটিং বা অফিশিয়াল ডিসিশনের ক্ষেত্রে কেউ কেউ হয়তো মনে করেন, আইডিয়া বা প্রস্তাবের মেরিটে নয়, আমি স্ত্রী কোটায় মুনজেরিনকে সমর্থন করছি। বা ভাইস ভার্সা। এটা একটা প্যারার বিষয়।’

মুনজেরিন আর আয়মান দুজনেই ঠিক করেছেন, ছোটখাটো বিষয়গুলো দুজনেই দিব্যি মানিয়ে নেবেন। আর একে অন্যকে বাকিদের চেয়ে বেশি পচাবেন (মজা করবেন)। বছরের পর বছর ‘স্বামী–স্ত্রী কম, বন্ধু বেশি’ হয়ে থাকবেন। সর্বোচ্চ সহযোগিতা, সহমর্মিতার আর বন্ধুতার সঙ্গে এগিয়ে নেবেন টেন মিনিট স্কুল আর নিজেদের দাম্পত্য জীবন।

 

নোরা আলমাতরুশিছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত  

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহাকাশচারী নোরা আলমাতরুশি। উত্তরসূরিদের মতো তাঁর জীবনেরও একটা বড় সময় কেটেছে মহাকাশ নিয়ে অবাক করা বিস্ময়ে আর চাঁদে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে।

এই স্বপ্ন পূরণের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন আলমাতরুশি। প্রথম আরব নারী হিসেবে চলতি সপ্তাহে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন তিনি।

৩০ বছর বয়সী আলমাতরুশি স্মরণ করছিলেন মহাকাশ নিয়ে তাঁর একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের এক পাঠদানের কথা। শ্রেণিকক্ষে তাঁর শিক্ষক চন্দ্রপৃষ্ঠে ভ্রমণের প্রতীকী চিত্র ফুটিয়ে তোলেন। সেখানে ছিল মহাকাশযাত্রার বিশেষ পোশাক, ছিল রকেট শিপের জন্য তাঁবু।  

বার্তা সংস্থা এএফপিকে আলমাতরুশি বলেন, ‘আমরা তাঁবু থেকে বেরিয়ে এলাম। দেখলাম, তিনি আমাদের শ্রেণিকক্ষের বাতিগুলো নিভিয়ে দিলেন। তাঁর শরীর ছিল ধূসর পোশাকে ঢাকা। তিনি আমাদের বলছিলেন, “যেন আমরা চাঁদের মাটিতে রয়েছি।”’

‘দিনটি আমাকে দারুণ রোমাঞ্চিত করে। আমার মনে স্থায়ী দাগ কাটে। আমি ভাবতে থাকি, এটা বিস্ময়কর। আমি ওই দিনের ঘটনার বাস্তব রূপ দেখতে চাচ্ছিলাম। চাঁদের মাটিতে আমি সত্যি সত্যি হাঁটতে চাচ্ছিলাম’, বলছিলেন নীল রঙের মহাকাশচারীর পোশাকে নোরা আলমাতরুশি। পোশাকে এমব্রয়ডারি করে লেখা ছিল তাঁর নাম, সঙ্গে নিজ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় পতাকা।

মানবসভ্যতাকে আমি আগের চেয়ে আরও এগিয়ে নিতে চাই। আমি চাই, মানুষ আবার চাঁদে যাক এবং চাঁদের বাইরেও আরও কিছু করুক। আর আমি এ যাত্রার অংশ হতে চাই।
নোরা আলমাতরুশি, নাসা থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা প্রথম আরব নারী

যন্ত্রপ্রকৌশলী আলমাতরুশি তেলের শিল্পে কাজ করেছেন। ২০২১ সালে নাসার প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে আরব আমিরাত থেকে প্রার্থী হওয়া দুই মহাকাশচারীর একজন ছিলেন তিনি। দেশটির মহাকাশ সংস্থা ইউএইএসএ তাঁদের বাছাই করে।    

দুই বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর আলমাতরুশি এখন পুরোপুরি উপযুক্ত একজন মহাকাশচারী। এই সময়ে তিনি তাঁর দেশীয় সহকর্মী ও আরও ১০ জনের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। নিয়েছেন মহাকাশে হাঁটার প্রশিক্ষণও।


‘দ্য ফ্লাইস’ নামে পরিচিত আলমাতরুশির দল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) নাসার মিশন, চাঁদে আর্টেমিস মিশন, এমনকি সব ঠিক থাকলে মঙ্গল অভিযানের জন্যও উপযোগী বলে জানা গেছে।

যন্ত্রপ্রকৌশলী আলমাতরুশি তেলের শিল্পে কাজ করেছেন। ২০২১ সালে নাসার প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে আরব আমিরাত থেকে প্রার্থী হওয়া দুই মহাকাশচারীর একজন ছিলেন তিনি। দেশটির মহাকাশ সংস্থা ইউএইএসএ তাঁদের বাছাই করে।

নোরা আলমাতরুশি বলেন, ‘মানবসভ্যতাকে আমি আগের চেয়ে আরও এগিয়ে নিতে চাই। আমি চাই, মানুষ আবার চাঁদে যাক এবং চাঁদের বাইরেও আরও কিছু করুক। আর আমি এ যাত্রার অংশ হতে চাই।’


উল্লেখ্য, আলমাতরুশি নাসার প্রথম আরব নারী স্নাতক ডিগ্রিধারী হলেও একাধিক আরব নারী এরই মধ্যে ব্যক্তি খাতে পরিচালিত মহাকাশযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সৌদি আরবের বায়োমেডিকেল গবেষক রিয়ানাহ বার্নাবি। এক্সিওম স্পেস প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গত বছর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যান তিনি। আগের বছর ২০২২ সালে ব্লু অরিজিনের মহাকাশ অভিযানে অংশ নেন মিসরীয় বংশোদ্ভূত লেবাননি প্রকৌশলী সারা সাবরি।

প্রতীকী ছবি  

সূর্যের চেয়ে ৩৩ গুণ বড় স্টেলার কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, পৃথিবী থেকে ২ হাজার আলোকবর্ষ দূরের এই কৃষ্ণগহ্বরটি একটি নক্ষত্রের বিস্ফোরণের ফলে তৈরি হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই কৃষ্ণগহ্বরের নাম দেওয়া হয়েছে বিএইচথ্রি। মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে পাওয়া এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে কাছের বড় কৃষ্ণগহ্বর।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই আবিষ্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী যে সময় এর তথ্য প্রকাশ করার কথা ছিল তার আগেই তা প্রকাশ করা হয়েছে। যেন অন্যান্য বিজ্ঞানীরাও তা নিয়ে পর্যবেক্ষণ ও নতুন গবেষণা করতে পারে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. প্যাসকেল পানুজো বলেন, এটা ‍খুবই অবাক করা ব্যাপার। এখন পর্যন্ত এটাই আমাদের সবচেয়ে কাছের ও সবচেয়ে বড়  আবিস্কৃত স্টেলার কৃষ্ণগহ্বর।

মিল্কিওয়েতে থাকা অন্যান্য কৃষ্ণগহ্বরের তুলনায় বিএইচ-৩ অনেক বেশি ভারী। ধারণা করা হয়, ছায়াপথে অন্তত ১০ কোটি স্টেলার ব্ল্যাক হোল আছে। সেগুলোর বিপুল ভর ও ব্যাপক অভিকর্ষজ ক্ষেত্র থাকার পরও শনাক্ত করা যাচ্ছে না। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব কৃষ্ণগহ্বরকে ঘিরে কোনো তারকা আবর্তিত হয় না।

মিল্কিওয়ে ছায়াপথে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় কৃষ্ণগহ্বরটি হলো স্যাজিটারিয়াস এ। এই কৃষ্ণগহ্বর কয়েক মিলিয়ন সূর্যের ভরের সমান। স্যাজিটারিয়াস এ কৃষ্ণগহ্বর আমাদের ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থান করছে

 

চঞ্চল চৌধুরীImage not found

‘তুফান’ সিনেমার পোস্টার ও চঞ্চল চৌধুরী  

গেল বছর বেশ ঘটা করে ঘোষণা দেওয়া হয় ‘তুফান’ সিনেমার। যেখানে অভিনয় করছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। আর এটি নির্মাণ করছেন এই সময়ের আলোচিত নির্মাতা রায়হান রাফি। সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে আছেন কলকাতার নায়িকা মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের মাসুমা রহমান নাবিলা।

এবার জানা গেল, ‘তুফান’র বিশেষ একটি চরিত্রে দেখা যাবে জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে। সিনেমায় নিজের উপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় এই অভিনেতা।

তার কথায়, ‘তুফান সিনেমায় আমাকে বিশেষ একটা চরিত্রে দেখা যাবে। রায়হান রাফি এই সময়ের প্রতিভাবান একজন পরিচালক। সেসঙ্গে শাকিবের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা একদম অন্যরকম। তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারলে ভালো লাগবে। আর এত বড় তিনটা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এক হয়েছে অবশ্যই ভালো কিছুই হবে।’

সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন নির্মাতা রায়হান রাফি। তিনি বলেন, ‘চঞ্চল ভাই আমাদের দেশের শক্তিমান অভিনেতা। “তুফান”-এ শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে ওনাকে পাওয়াটা আমার জন্য আনন্দের।’

‘তুফান’ সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এসভিএফ বাংলাদেশ, আলফা আই ও চরকি। এই তিন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘তুফান’র আগে আরও একটি সিনেমার ঘোষণা দেয়। নাম ‘দম’। আর এটি পরিচালনা করবেন রেদওয়ান রনি। ‘দম’র মূল চরিত্রে দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে।


MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget