কেন্দুয়ায় ৩দিন ব্যাপী জালাল মেলার উদ্বোধন

 

কেন্দুয়ায় তিন দিনব্যাপী জালাল মেলা

উপমহাদেশের প্রখ্যাত মরমী বাউল সাধক,একুশে পদকপ্রাপ্ত আত্মসন্ধানী বাউল কবি জালাল উদ্দিন খাঁ'র ১৩০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ৩দিন ব্যাপী জালাল মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৫, ২৬ ও ২৭ এপ্রিল এমেলা চলবে।  

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ৩দিন ব্যাপী বাউল সাধক জালাল উদ্দিন খাঁর ১৩০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এজালাল মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,  নেত্রকোনা -৩(কেন্দুয়া- আটপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য ইফতিকার উদ্দিন তালুকদা পিন্টু।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুজ্জামান,কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূরুল ইসলাম, কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো.এনামুল হক পিপিএম। 

মূখ্য আলোচক হিসেবে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত লেখক অধ্যাপক যতীন সরকার উপস্থিত থাকার কথা থাকলে উনি অসুস্থতার জন্য স্বশরীরে আসতে না পারায় তিনি ভার্চুয়ালি মোবাইলে মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। পরে প্রধান অতিথি মূখ্য আলোচকের অসুস্থতার জন্য আসতে না পারায় উপস্থিত সকলের কাছে উনার জন্য দোয়ার প্রার্থনা করেন।    
এছাড়াও সাবেক সচিব ও লেখক কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী,বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক- নাট্যকার-লোকসংস্কৃতি গবেষক সাইমন জাকারিয়া,বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত লোকসংস্কৃতি গবেষক সুমন কুমার দাশ,লেখক প্রাবন্ধিক গোলাম মোরশেদ খান, লেখক,গবেষক প্রাবন্ধিক গোলাম ফারুক খান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন,"ভাইসাব" খ্যাত সামিউল হক ভুইয়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসন  কর্তৃক তিন দিনব্যাপী "জালাল মেলা" এযাবৎকালের সর্ববৃহৎ মিলনমেলায় পরিণত হতে যাচ্ছে ৷ কিকি থাকছে এমেলায় প্রশ্ন করা হলে মেলা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ও কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত্রী অব্দি তিন দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলা, পুতুল নাচ, দেশবরেণ্য জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বাউলদের জালালগীতিকা পরিবেশনা, মঞ্চ নাটক ও দেশবরেণ্য জালাল ও লোকগবেষকদের অংশগ্রহণে আলোচনা অনুষ্ঠান থাকবে। সকলের স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণ ও সহযোগীতা একান্ত কামনা করেন তিনি। 

এছাড়াও, বর্ণিল এআয়োজনকে স্মরণীয় করে রাখতে "ভাবতরঙ্গ" শিরোনামে একটি প্রকাশনা প্রকাশিত হয়েছে। শেষে জালালগীতি পরিবেশনা করেন, বাউল সুনীল কর্মকার , লোকশিল্পী আব্দুল কুদ্দুস বয়াতী, বাউল কবি আব্দুস সালাম সরকার। 

এমেলা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এব্যাপারে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো.আয়েশ উদ্দিন তাঁর প্রতিক্রিয়া বলেন, মরমী বাউল সাধক জালাল উদ্দিন খাঁ কেন্দুয়া সম্পদ। জালাল মেলাকে ঘিরে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ করা যাচ্ছে এবং এমেলা ঘিরে অনেক বাউল-সাধকের আগমন ঘটবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরো বলেন, অনেক দেরিতে হলেও তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করার জন্য কেন্দুয়ার আপামর জনসাধারণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। 

এব্যাপারে বাউল শিল্পী ও কেন্দুয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জিয়াউর রহমান জীবনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এমন চমৎকার মেলার আয়োজনের জন্য কেন্দুয়াবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ দেন তিনি এবং আরো বলেন এজালাল মেলা কেন্দুয়াতে প্রথম উদযাপন হয়েছিল কেন্দুয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদ মাঠে, তাই এমেলার প্রতি আমাদের অতিরিক্ত টান বা উত্তেজনা রয়েছে। 

বাউল সাধকরা যাতে সঠিক সময়ে সঠিক মূল্যায়ন পাইতে পারে সেইজন্যে উপজেলা প্রশাসনসহ সরকারের কাছে জোর দাবী জানান তিনি ।

 

Post a Comment

[facebook] [blogger]

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget